ভূমিকাঃ
বর্তমান পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ মানুষ মুসলমান হলেও প্রকৃত মুসলমান ও ঈমানদারের সংখ্যা উপরোল্লেখিত অংঙ্কের যে বহুগুন নীচে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ অনেক লোক নামধাম দিয়ে ইসলাম ও ঈমানের দাবি করলেও প্রকৃত অর্থে তারা শিরকের বেড়াজাল থেকে নিজদের মুক্ত করতে পারেনি।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরানে বলেন,
وَ مَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللهِ إِلاَّ وَ هُم مُشْرِكُوْنَ
‘‘অনেক মানুষ আল্লাহকে বিশ্বাস করলেও তারা কিন্তু মুশরিক।’’ [সূরা ইউসূফ : ১০৬ ]
অনেক মানুষ তাদের জীবনে কোন এক সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এ কালেমার মৌখিক স্বীকৃতি দান করেই নিজকে খাঁটি ঈমানদার মনে করে, যদিও তার কাজ-কর্ম ঈমান আকীদার সম্পূর্ণ পরিপন্থী হয়। এর কারণ হলো ঐ ব্যক্তিরা কেন আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে, অথবা তাদের নিকট ঈমান কি দাবি করে এবং কি কাজ করলে ঈমানের গন্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে এ সম্পর্কে তাদের মোটেই ধারণা নেই।
গণেশ নামে কোন ব্যক্তি একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করার পরেও কালি পূঁজা করে বলে অথবা লক্ষ্মীর নিকট কল্যাণ কামনা করে বলে তাকে মুশরিক বলা হয়। আবার আবদুল্লাহ্ নামক কোন ব্যক্তি আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করার পর যদি গোর পূজা বা পীর পূজা করে অথবা খাজাকে সেজদা করে বা মৃত ব্যক্তির নিকট কল্যাণ কামনা করে তাহলে গনেশের মধ্যে ও এ আব্দুল্লার মধ্যে পার্থক্য কোথায় ? মূলত: এদের দুজনের নামে পার্থক্য থাকলেও উভয়ের কর্ম এবং পথ কিন্তু একটিই। দ্বিতীয় ব্যক্তি তার জীবনের কোন এক সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’-এ কালেমা সাক্ষ্য দান করে থাকলেও তা ছিল একান্তই গতানুগতিক। তাই সে তাওহীদের পথকে পরিহার করে ঘুরপাক খাচ্ছে শিরকের অন্ধকার গলিতে। অন্তত মুসলমানদের জীবনে এমনটি যেন না ঘটে এ দৃষ্টিকে সামনে রেখে লেখক এই আলোচনা তে কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ এর অর্থ এবং এর দাবি ইত্যাদি প্রসঙ্গে তথ্য ভিত্তিক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন। নির্ভেজাল ইসলামী আকীদাহ নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আলোচনাটিকে মাইল ফলক হিসাবে ধরা যায়।
যদি সঠিক ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত থেকে পারেন তাহলে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে খাঁটি ঈমানদার হয়ে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করার তাওফীক দান করুন। (আমীন )
মুহাম্মদ মতিউল ইসলাম বিন আলী আহমদ
No comments:
Post a Comment