সুন্নাত নিয়ে আমাদের ভুল ধারনা সমুহ

সুন্নাত নিয়ে আমাদের ভুল ধারনা সমুহ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আমার প্রায় লেখাগুলোই শুরু হয় আমাদের জ্ঞানহীনতার আহাজারি দিয়ে। ব্যাপারটা একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সত্যি কথা এটাই যে মুসলিম হিসেবে যা জানার কথা ছিল ক্লাস ফোর-ফাইভে, সেটা আমি জেনেছি অনার্স পরীক্ষা দেবার পর! এরকম ইসলামের খুব বেসিক কিন্তু একেবারেই অজানা একটা বিষয় হল সুন্নাত।

সুন্নাত শব্দটার সরল অর্থ পথ, নিয়ম বা রীতি। সুন্নাতুল্লাহ মানে আল্লাহর রীতি। সুন্নাতুর রসুল মানে রসুল(সাঃ) এর পথ, তাঁর রীতি। কিন্তু ইসলামি পরিভাষায় সুন্নাত শব্দটি বিভিন্ন শাখার স্কলাররা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করেছেন। যেমন –

১. ফিক্‌হ (ইসলামি আইন) শাস্ত্রে সুন্নাত বলতে বোঝায় এমন কাজ যা করা ভাল কিন্তু তা করতে মানুষ বাধ্য নয়। যেমন ফজরের ফরযের আগের দুই রাকাত নামাজ সুন্নাত। এটা কেউ না পড়লে পাপী হবেনা কিন্তু পড়লে অনেক অনেক সাওয়াব – আসমান এবং জমিনের মাঝে যা কিছু আছে তার থেকে এ দু’রাকাত নামায উত্তম বলে রসুল(সাঃ) আমাদের জানিয়ে গেছেন। এই ‘সুন্নাত’ মুস্তাহাব/মানদুব/পছন্দনীয়/Recommended এর সমার্থক শব্দ।

২. হাদীস শাস্ত্রে রসুল(সাঃ) এর কথা, কাজ, মৌন সম্মতির পাশাপাশি অভ্যাস, দৈহিক বৈশিষ্ট্য অথবা জীবনবৃত্তান্ত – যা কিছু বর্ণিত হয়েছে তার সবই সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। যেমন তিনি লাউ খেতে ভালোবাসতেন এটা সুন্নাত, ঘুমের সময় তার হালকা নাক ডাকার শব্দ হত সেটাও সুন্নাত আবার তিনি মাথায় পাগড়ি পড়তেন এটাও সুন্নাত।

৩. উসুলুল ফিক্‌হ (ইসলামি আইনের মূলনীতি) শাস্ত্রে সুন্নাত বলতে বোঝায় রসুল(সাঃ) এর কথা – আদেশ, উৎসাহ, অনুমোদন, অপছন্দ বা নিষেধ; তাঁর কাজ যা অন্যদের জন্য অনুকরণযোগ্য এবং তাঁর মৌন সম্মতি (কারণ কোন খারাপ কাজ হবে আর তিনি চুপ করে থাকবেন তা হবার নয়) সবকিছুর সমন্বয়কে।

ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্রে ভিন্ন ভিন্ন পটভূমিতে সুন্নাত শব্দের চলের ফলে আমরা প্রায়ই ভুল বুঝাবুঝির শিকার হই। খুব প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা –

১. কুর’আনের সব আদেশ মানা বাধ্যতামূলকঃ

আল কুর’আনের সব আদেশ মুসলিমদের উপর ফরয নয়। যেমন সুরা বাক্বারার ২৮২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন – “…আর তোমরা বেচা-কেনা করার সময় সাক্ষী রাখ…” আল্লাহর এই আদেশটি অবশ্য পালনীয় নয় বরং মুস্তাহাব বা পছন্দনীয়। আল্লাহ তার অসীম করুণায় এটা আমাদের উপর ফরয করে দেননি, দিলে দৈনন্দিন জীবন যাপনে আমাদের অনেক অসুবিধা হত।
কুর’আন যেহেতু রসুল(সাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল তাই এর বিধানগুলো কিভাবে মানতে হবে তা জানার জন্য আমাদের যেতে হবে রসুল(সাঃ) এর কাছে। কুর’আনের কোন আদেশের মর্যাদা কী তা ফকীহ আলিমরা সেই বিষয়ের উপর কুর’আন এবং হাদিসের সমস্ত সূত্র এক করে গবেষণা করে বের করেন। যেমন উল্লেখিত আয়াত রসুল(সাঃ) এর উপর নাযিল হওয়া সত্ত্বেও তিনি অনেক সময় সাক্ষী ছাড়াই কেনাকাটা করতেন। তার এ আচরণ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে এটা অবশ্য করণীয় নয়।

২. হাদিসের আদেশ মানলেও চলে, না মানলেও চলেঃ

কোন ব্যাপারে রসুল(সাঃ) এর আদেশ মানা বাধ্যতামূলক হতে পারে যদিও হয়ত সে ব্যাপারে কুর’আন থেকে সরাসরি কোন বিধান নেই। যেমন রসুল(সাঃ) বলেছেন –
“গোঁফ ছেঁটে রাখ এবং দাড়িকে ছেড়ে দাও”

এখানে দাড়ির ব্যাপারে রসুল(সাঃ) “আমার প্রভু আমাকে আদেশ করেছেন” – এমন শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটি সহ দাড়ির ব্যাপারে অন্যান্য সব হাদিস একসাথে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে দাড়ি রাখা প্রত্যেক মুসলিম পুরুষের জন্য ফরয বা বাধ্যতামূলক।
অনেকে মনে করেন দাড়ি রাখা রসুলের সুন্নাত। এখানে সুন্নাত বলতে বুঝিয়েছে রসুল(সাঃ) এর একটি অভ্যাসকে। কিন্তু এই অভ্যাস আসলে ‘করলে ভালো না করলে ক্ষতি নেই’- এমন স্ট্যাটাসের না। এটা ফরয যা করতে প্রত্যেক মুসলিম বাধ্য। যদি কেউ দাড়ি না রাখে তবে তার জন্য তাকে রসুল(সাঃ), প্রকারান্তরে আল্লাহর আদেশ লঙ্ঘন করায় পরকালে শাস্তি পেতে হবে।

৩. সব সুন্নাতই অনুকরণীয়ঃ

যেসব সুন্নাত রসুল(সাঃ) এর অভ্যাসগত বা জীবন যাপনের সাথে সম্পর্কিত তার সব কিছু মানতে মুসলিম বাধ্য নয়। যেমন রসুল(সাঃ) ঘুমানোর সময় তার নাক ডাকতো। এখন আমাদেরও নাক ডাকতে হবে এমনটা জরুরী নয়। ঠিক তেমন রসুল(সাঃ) যে ধরণের পোষাক পরতেন তা তিনি আমাদের জন্য অনুকরণীয় করেননি। করলে দেখা যেত শীতের দেশের মুসলিমরা কিংবা আমাদের মত পানির দেশের মুসলিমরা সে ধরণের পোশাক পরতে না পারার কারণে সাওয়াবের দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই তিনি পোশাকের একটি রূপরেখা দিয়ে দিলেন। সে রূপরেখা মেনে চললে পৃথিবীর যে কোন এলাকার মুসলিম নিজেকে আবৃত করতে পারবে, পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলাচল করতে পারবে আবার রসুল(সাঃ) এর আদেশ মানার মাধ্যমে পূণ্যার্জনও করতে পারবে।

৪. রসুলের আনুগত্য বাধ্যতামূলক নয়ঃ

মানুষ হিসেবে রসুল(সাঃ) এর কিছু কাজ আমাদের জন্য অনুকরণীয় নয় বটে কিন্তু রসুল হিসেবে তার সব কাজই আমাদের জন্য অনুকরণীয়। কিছু কিছু ব্যাপারে তার অনুকরণ করাটা পছন্দনীয় এবং বাঞ্চনীয় – যেমন তার চারিত্রিক শিষ্টাচার। আবার কিছু কিছু ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। আসলে তিনি যত আদেশ দিয়েছেন তা যদি অন্য কোন কথা বা কাজ দিয়ে লঘু না করে থাকেন তবে সেটা আমাদের জন্য ফরয বা বাধ্যতামূলক। এটা সময় বা পরিবেশের সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল নয়। যেটা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে বদলে যেতে পারে সেটা আমাদের উপর বাধ্য করা হয়নি। সত্যি কথা বলতে গেলে ইসলামটা আসলে রসুলের আনুগত্যের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষের জীবনে ইসলামের রূপটা কেমন হবে তার জ্বলন্ত উদাহরণ রসুল(সাঃ)। এ কারণেই আল্লাহ কুর’আন আকাশ থেকে পৃথিবীতে ঠাস করে ফেলে দেননি, একজন মানুষ নবীর উপর নাযিল করেছেন। এতে কুর’আনের তাত্বিক ও ব্যবহারিক ব্যাখ্যা সমেত মানব্জাতির কাছে আল্লাহর পুরো মেসেজটাই কিয়ামাত পর্যন্ত সংরক্ষণ করা গেছে। আর মূলতঃ এই কারণে হাফ-কাফির / ফুল-কাফির / ওরিয়েন্টালিস্ট / মুক্তমনাদের আক্রমণের কেন্দ্র ক্বুর’আন নয়, সুন্নাতুর রসুল। সুন্নাত আছে মানে কুর’আন যাচ্ছেতাই ভাবে ব্যাখ্যা করার দরজা বন্ধ। সুন্নাত নেই মানে ‘মারি তো গন্ডার লুটি তো ভান্ডার’।

৫. নামাযে টুপি পড়া সুন্নাতঃ

পাগড়ি বা টুপি জাতীয় পোশাক পড়া ছিল রসুল(সাঃ) এর অভ্যাস। কিন্তু তিনি সহিহ হাদিসে নামাযের পড়ার সাথে টুপির বিষয়টা সম্পর্কযুক্ত করেননি। নামাযের সময় ভালো পোশাক পরতে আদেশ দেয়া হয়েছে কুর’আনে কারণ অজ্ঞ মুশরিকরা নগ্নদেহে কাবা ঘর তাওয়াফ করত। এর বিরুদ্ধাচারণ করতে বলা হয়েছে ইসলামে। আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গেলে বা গুরুত্বপূর্ণ কোন মানুষের সাথে দেখা করতে হলে আমাদের সবচেয়ে ভালো পোশাক পড়ে যাই। একজন মুসলিমের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্ত্বা আল্লাহ, সবচেয়ে দামী জায়গা মসজিদ – তাই সে সেখানে সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে দামী পোশাক পড়ে যাবে এটাই কাম্য। কারো যদি টুপি পড়ার অভ্যাস থাকে সে অবশ্যই টুপি পড়ে নামায পড়তে পারে। কারো যদি অভ্যাস না থাকে কিন্তু শুধু নামাযের জন্য টুপি পড়ে তবে সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে যতক্ষণ না সে মনে করছে এই টুপি পড়ায় বাড়তি কোন সাওয়াব আছে। পাগড়ি বা টুপি পড়ায় যদি বাড়তি কোন সাওয়াব থাকতো তবে তা রসুল(সাঃ) বলে যেতেন। যেহেতু তিনি তা বলে যাননি সেহেতু কেউ যদি ভাবে ‘টুপি/পাগড়ি পড়লে সাওয়াব হয়’ অথবা ‘টুপি/পাগড়ি নামাযের একটি অংশ’ তবে সেটা হবে বিদ’আত। এখানে কাজটা অভ্যাসগত সুন্নাত অথচ কাজের সাথে মিশে থাকা বিশ্বাসটা বিদ’আত। কোনটায় সাওয়াব হবে সেগুলো খুব স্পষ্টভাবে কুর’আন এবং সুন্নাহতে বলে দেয়া আছে – আমার মনে করাকরির কোন স্থান ইসলামে নেই।

৬. সুন্নাতি লেবাসঃ

রসুল(সাঃ) তোফ মানে ঢিলেঢালা লম্বা জামা পড়তেন যার দৈর্ঘ্য ছিল হাটু থেকে গোড়ালির মাঝামাঝি পর্যন্ত। এখন কেউ একটা পাঞ্জাবি পড়ল যা হাটু পর্যন্ত। আর আমি একটা তোফ পড়লাম যা প্রায় গোড়ালি ছুঁই-ছুঁই। এখন যদি আমি মনে করি এটা পড়ে আমি একটু বেশি সাওয়াব পাচ্ছি তবে সেটা হবে বিদ’আত। কারণ জামার ধরণ বা দৈর্ঘ্যের সাথে সাওয়াবের কোন সম্পর্ক আল্লাহ বা তার রসুল(সাঃ) করেননি। আমাদের দেশে সুন্নাতি লেবাসের যে ধারণাটি প্রচলিত আছে তা আসলে সুন্নাতি লেবাসের একটা রূপ মাত্র, পুরো চিত্রটা নয়।

তবে একটা ব্যাপার পরিষ্কার করে দেয়া উচিত। রসুল(সাঃ) কে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। যে কেউ রসুল(সাঃ)কে ভালোবেসে শরিয়াতের সীমার মধ্যে কিছু করলে সেটা সে যাই করুক না কেন সেজন্য সে সাওয়াব পাবে। তবে সে সাওয়াব হবে ‘রসুল কে ভালোবাসা’-এই মূলনীতির আওতায়। অর্থাৎ কেউ যদি সবসময় টুপি পড়ে থাকে তবে সে রসুল(সাঃ) কে ভালোবেসে অনুকরণ করার কারণে সাওয়াব পাবে, কিয়ামাতের বিপদে রসুলের সান্নিধ্য পাবে। কেউ যদি লাউ খেতে ভালোবাসে এজন্য যে রসুল(সাঃ) তা ভালোবাসতেন তবে রসুল(সাঃ) কে ভালোবাসার কারণে সে সাওয়াব পাবে – ‘লাউ খাওয়া’ এ কাজটির কারণে সাওয়াব পাবেনা।

সাধু সাবধানঃ

আমাদের দেশের তথাকথিত সচল-আলোকিত শ্রেণীর মানুষের গা-জ্বালা করা দু’টি ব্যাপার আছে – দাড়ি ও টুপি। প্রথমটি ফরয এবং দ্বিতীয়টি সুন্নাত। কারো যদি এ দু’টি দেখে গা জ্বালা করে তবে বুঝতে হবে তার গা-জ্বালার আসল কারণ ইসলাম। দাড়ি-টুপি ইসলামের বাহ্যিক প্রতীকগুলোর মধ্যে দু’টি উল্লেখযোগ্য প্রতীক।

আমরা আসলে ‘পা-ঝাড়া’ মুসলিম। সপ্তাহে একদিন সামাজিকতার খাতিরে জুম’আর নামায পড়তে আমরা মসজিদে যাই। সেখান থেকে বের হয়ে প্রথম যে কাজটা করি তা হলো গোটানো প্যান্টটা ঝেড়ে ছেড়ে দেই গোড়ালির নিচে। এই পা ঝাড়ার সময় যতটুকু ইসলাম ভুল করে মসজিদ থেকে পায়ে লেগে গিয়েছিল সেটুকু ঝেড়ে ফেলে দিলাম। এই আমরা কথায় কথায় ছাগু বলি, রাজাকারের কার্টুন আঁকার সময় দাড়ি আর টুপি আঁকি। সাকা চৌধুরী তো বিখ্যাত রাজাকার – তার মত মাকুন্দ রাজাকারের কোন ক্যারিকেচার কেন কেউ কখনো আঁকলোনা? কারণটা খুব স্পষ্ট – যাতে দাড়ি আর টুপি তথা ইসলামকে রাজাকারের প্রতিশব্দ করে ফেলা যায়। আজ সেটা খুব সফলভাবে করা গেছে। যে মুসলিম নিজের ধর্মের প্রতীক প্রকাশে লজ্জা পাবে এমন মুসলিমই তো শয়তান চেয়েছিল। নিজের ইসলামকে কাফিরদের মন মত করে সাজিয়ে নেবে এমন মুসলিমের পরিকল্পনাই তো কাফিররা করেছিল। রজম, চার বিয়ে আর মেয়েদের পর্দার মত ‘নোংরা’ (নাউযুবিল্লাহ) সুন্নাত মুসলিমরা ঝাড় দিয়ে পরিষ্কার করে খাটের তলায় লুকোবে আর হাত কাঁচু-মাচু করে বলবে – না, না এসব আসল ইসলাম নয় – এমন মুসলিমদের স্বপ্নই দেখেছে কাফিরেরা, আজীবন।

ইসলাম মানে আল্লাহ যা পাঠিয়েছেন তার পুরোটাই মেনে নেয়া। যেটুকু আমার ভাল লাগে বা যেটুকু আমার বুঝে আসে বা যেটুকু মানলে আলোকিত সচল হওয়া যাবে, সুশীল সমাজ ভাল বলবে শুধু সেটুকু মানার নাম ইসলাম নয়। আমাদের মত সুশীল/সচল হবার দৌড়ে মত্ত আপাত মুসলিমদের আল্লাহ খুব বড় একটা ধাক্কা দিয়েছেন এভাবে –

“…..তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং তোমাদের যারা এরকম করে তাদের একমাত্র প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীনতা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিনতম শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে।………” [সূরা বাক্বারা, ২ : ৮৫]

আবার বলি। শ্যাম এবং কূল দুটো একসাথে রাখার কোন সিস্টেম ইসলামে নাই। বাঁশি সহ শ্যামকে ওয়াক-আউট না করাতে পারলে ইসলাম থাকবেনা। একটা মানুষ হয় মুসলিম নাহয় কাফির – মাঝামাঝি কিছু নেই। আর মুসলিম মানে সুন্নাতের কাছে আত্মসমর্পণ। একজন কত ভালো ভাবে আত্মাকে সমর্পণ করতে পারলো সেটা দিয়ে নির্ধারিত হবে সে কোন গ্রেডের মুসলিম। পা-ঝাড়া মুসলিম হয়ে এপারে জানাজাটুকু মিললেও ওপারে কিন্তু কেবলই কাঁচকলা।

No comments:

Post a Comment