তাওহিদের বিশ্বাসসমূহ : ১৩ : গাইরুল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা শিরক

তাওহিদের বিশ্বাসসমূহ : ১৩ : গাইরুল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা শিরক

গাইরুল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা শিরক
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরানে ইরশাদ করেছেন,
وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا #الجن:6
‘‘মানুষের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোক কতিপয় জিনের কাছে আশ্রয় চাইতেছিল, এর ফলে তাদের [জিনদের] গর্ব ও আহমিকা আরো বেড়ে গিয়েছিল। (জিন:৬)

খাওলা বিনতে হাকীম (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন মঞ্জিলে অবতীর্ণ হয়ে বললো,
أعوذ بكلمات الله التامات من شرما خلق #رواه مسلم
‘‘আমি আল্লাহ তাআলার পূর্ণাঙ্গ কালামের কাছে তাঁর সৃষ্টির সকল অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই। তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত সে ঐ মঞ্জিল ত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। (মুসলিম)
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় : 
১। সূরা জিনের ৬ নং আয়াতের তাফসির।
২। গাইরুল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া শিরকের মধ্যে গণ্য।
৩। হাদিসের মাধ্যমে এ বিষয়ের উপর [অর্থাৎ গাইরুল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া শিরক] দলীল পেশ করা। উলামায়ে কেরাম উক্ত হাদিস দ্বারা এ প্রমাণ পেশ করেন যে, কালিমাতুল্লাহ অর্থাৎ ‘আল্লাহর কালাম মাখলুক [সৃষ্টি] নয়। তাঁরা বলেন ‘মাখলুকের কাছে আশ্রয় চাওয়া শিরক।
৪। সংক্ষিপ্ত হলেও উক্ত দোয়ার ফজিলত।
৫। কোন বস্ত্ত দ্বারা পার্থিক উপকার হাসিল করা অর্থাৎ কোন অনিষ্ট থেকে তা দ্বারা বেঁচে থাকা কিংবা কোন স্বার্থ লাভ, এ কথা প্রমাণ করে না যে, উহা শিরকের অন্তর্ভুক্ত নয়।
রচয়িতা : মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহহাব

No comments:

Post a Comment