তাওহিদের বিশ্বাসসমূহ : ২৯ : জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কীয় শরিয়তের বিধান

তাওহিদের বিশ্বাসসমূহ : ২৯ : জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কীয় শরিয়তের বিধান

জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কীয় শরিয়তের বিধান
ইমাম বুখারি রহ. তাঁর সহিহ বুখারি গ্রন্থে বলেছেন, কাতাদাহ রা. বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা এসব নক্ষত্ররাজিকে তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, আকাশের সৌন্দর্যের জন্য, আঘাতের মাধ্যমে শয়তান বিতাড়নের জন্য এবং [দিক ভ্রান্ত পথিকদের] নিদর্শন হিসেবে পথের দিশা পাওয়ার জন্য। যে ব্যক্তি এ উদ্দেশ্য ছাড়া এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিবে সে ভুল করবে এবং তার ভাগ্য নষ্ট করবে। আর এমন জটিল কাজ তার ঘাড়ে নিবে যে সম্পর্কে তার কোন জ্ঞানই থাকবে না।’’ বুখারি

কাতাদাহ (রা.) চাঁদের কক্ষ সংক্রান্ত বিদ্যার্জন অর্থাৎ জ্যোতির্বিদ্যা অপছন্দ করতেন। আর উয়াইনা এ বিদ্যার্জনের অনুমতি দেননি। উভয়ের কাছ থেকে হারব (রহ.) একথা বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আহমদ এবং ইসহাক (রহ.) [চাদের] কক্ষপথ জানার অনুমতি দিয়েছেন।
আবু মূসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
ثلاثة لا يدخلون الجنة: مدمن الخمر، وقاطع الرحم، ومصدق بالسحر. #رواه أحمد وابن حبان فى صحيحه
তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না- ১। মাদকাসক্ত ব্যক্তি ২। আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী এবং ৩। জাদুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী। (আহমাদ, ইবনু হিববান)
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়
১। নক্ষত্র সৃষ্টির রহস্য।
২। নক্ষত্র সৃষ্টির ভিন্ন উদ্দেশ্য বর্ণনাকারীর সমুচিত জবাব প্রদান।
৩। কক্ষ সংক্রান্ত বিদ্যার্জনের ব্যাপারে মতভেদের উল্লেখ।
৪। জাদু বাতিল জানা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি যাদুর অন্তর্ভুক্ত সামান্য জিনিসেও বিশ্বাস করবে, তার প্রতি কঠোর হুশিয়ারী।
রচয়িতা : মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহহাব

No comments:

Post a Comment