তাওহিদের বিশ্বাসসমূহ : ৪ : শিরক সম্পর্কীয় ভীতি
শিরক সম্পর্কীয় ভীতি
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ
‘‘আল্লাহ তাঁর সাথে শিরক করা গুনাহ মাফ করবেন না। শিরক ছাড়া অন্যান্য যে সব গুনাহ রয়েছে সেগুলো যাকে ইচ্ছা মাফ করে দিবেন।’’ (নিসাঃ৪৮)
ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার কাছে এ দোয়া করেছিলেন,
وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ (إبراهيم: ৩৫)
‘‘আমাকে এবং আমার সন্তানদের মূর্তিপূজা থেকে রক্ষা কর’’ (ইবরাহিম : ৩৫)
এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
.أخوف ما أخاف عليكم، الشرك الأصغرও فسئل عنه فقال : الرياء
‘‘ আমি তোমাদের জন্য সে জিনিসটি সবচেয়ে বেশী ভয় করি তা হচ্ছে শিরকে আসগার অর্থাৎ ছোট শিরক। তাকে শিরকে আসগার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, (ছোট শিরক হচ্ছে) ‘‘রিয়া’’।
ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
من مات وهو يدعوا لله ندا دخل النار (رواه البخاري)
‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে। সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’ (বুখারি)
সাহাবি জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে মৃত্যু বরণ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কাউকে শরিক করে মৃত্যু বরণ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’ (মুসলিম)
এ আলোচনা থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় :
১। শিরককে ভয় করা।
২। রিয়া শিরকের মধ্যে শামিল।
৩। রিয়া হল ছোট শিরকের অন্তর্ভূক্ত।
৫। জান্নাত ও জাহান্নাম কাছাকাছি হওয়া।
৬। জান্নাত ও জাহান্নাম নিকটবর্তী হওয়ার বিষয়টি একই হাদীসে বর্ণিত হওয়া।
৭। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে মৃত্যুবরণ করলে মৃত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক বানিয়ে মৃত্যু বরণ করলে মৃত ব্যক্তি যত বড় আবেদই হোক না কেন সে জাহান্নামে যাবে।
৮। ইবরাহীম খলীল (আ.) এর দোয়ার প্রধান বিষয় হচ্ছে, তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা তথা শিরক থেকে রক্ষা করা।
৯। رب أنهن أضللن كثيرا من الناس ‘‘হে আমার রব, এমূর্তিগুলো বহু লোককে গুমরাহ করেছে’’ এ কথা দ্বারা ইবরাহীম (আ.) বহু লোকের অবস্থা থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করেছেন।
১০। এখানে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর তাফসীর রয়েছে যা ইমাম বুখারি বর্ণনা করেছেন।
১১। শিরক মুক্ত ব্যক্তির মর্যাদা।
১। শিরককে ভয় করা।
২। রিয়া শিরকের মধ্যে শামিল।
৩। রিয়া হল ছোট শিরকের অন্তর্ভূক্ত।
৫। জান্নাত ও জাহান্নাম কাছাকাছি হওয়া।
৬। জান্নাত ও জাহান্নাম নিকটবর্তী হওয়ার বিষয়টি একই হাদীসে বর্ণিত হওয়া।
৭। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করে মৃত্যুবরণ করলে মৃত ব্যক্তি জান্নাতে যাবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক বানিয়ে মৃত্যু বরণ করলে মৃত ব্যক্তি যত বড় আবেদই হোক না কেন সে জাহান্নামে যাবে।
৮। ইবরাহীম খলীল (আ.) এর দোয়ার প্রধান বিষয় হচ্ছে, তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা তথা শিরক থেকে রক্ষা করা।
৯। رب أنهن أضللن كثيرا من الناس ‘‘হে আমার রব, এমূর্তিগুলো বহু লোককে গুমরাহ করেছে’’ এ কথা দ্বারা ইবরাহীম (আ.) বহু লোকের অবস্থা থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করেছেন।
১০। এখানে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর তাফসীর রয়েছে যা ইমাম বুখারি বর্ণনা করেছেন।
১১। শিরক মুক্ত ব্যক্তির মর্যাদা।
রচয়িতা : মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহহাব
No comments:
Post a Comment